28 C
Dhaka
অক্টোবর ৩০, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
Editor's Picks আন্তর্জাতিক

লাদাখ নিয়ে মোদীর সর্বদলীয় বৈঠক : সবার দৃষ্টি বৈঠকে

ভারতের উত্তর সীমান্তে সামরিক তৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বিষয় নিয়েই সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গলওয়ান উপত্যকায় ঠিক কী ঘটেছিল, এখন কী পরিস্থিতি সীমান্তের, কী করতে চাইছে সরকার— এই সব বিষয়ই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে আজকের বৈঠকে জানাবেন প্রধানমন্ত্রী, ধারণা রাজনৈতিক শিবিরের। যে সংঘাত শুরু হয়েছে সীমান্তে, তা নিয়ে ঠিক কী অবস্থান নিতে চলেছে ভারত, সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হতে পারে এই বৈঠকের পরে। -আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়া

বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া সর্বদলীয় বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সেই হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে আছেন সরকারের তরফ থেকে। বিজেপির তরফ থেকে সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা এবং কংগ্রেসের তরফে সভানেত্রী সনিয়া গাঁন্ধী আছেন।

প্রতিনিধি না পাঠিয়ে সব দলের শীর্ষ পদাধিকারীরাই যেন যোগ দেন বৈঠকে, এমনই অনুরোধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে। সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে তৃণমূলের তরফেও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন দলের চেয়ারপার্সন তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়ক, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনেরও এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। আমন্ত্রণ পেয়েছেন সিপিআই-এর ডি রাজা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও।

বিতর্ক তৈরি হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল আমন্ত্রণ না পাওয়ায়। আমন্ত্রণ পায়নি লালুপ্রসাদের আরজেডি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-ও। দেশের সীমান্তে যখন বিপজ্জনক সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি, তখন প্রধানমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে এই দলগুলিকে কেন ডাকা হল না? এখানেও কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাওয়া হল? এমন প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে ওই দলগুলির তরফে। কিন্তু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে মাপকাঠির ভিত্তিতে সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দলকে, আরজেডি, আপ বা এআইএমআইএম সেই মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে পারছে না।

কী মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র? যে সব দল জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃত অথবা লোকসভায় যে সব দলের অন্তত ৫ জন সাংসদ রয়েছেন অথবা যে সব দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রয়েছে, তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সর্বদল বৈঠকে। উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে অবশ্য সে নিয়মে ব্যতিক্রম রয়েছে। যে হেতু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ছোট ছোট এবং সংসদে ওই রাজ্যগুলির অধিকাংশেরই আসনসংখ্যা কম, সে হেতু তাদের জন্য জাতীয় দলের তকমা বা লোকসভায় ৫ আসনের মাপকাঠি রাখা হয়নি। উত্তর-পূর্বের সব গুরুত্বপূর্ণ দলকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে ২০টি দল বৈঠকে যোগ দিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। লাদাখের পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নিজেই ব্যাখ্যা করেন দলগুলির সামনে। সরকার এই পরিস্থিতিতে কী করতে চাইছে, তা-ও জানাতে পারেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও জানতে চাইতে পারেন। গোটা দেশের নজর আজ এই বৈঠকের দিকে। সীমান্তে গত কয়েক দিন ধরে সামরিক প্রস্তুতি দ্রুত বাড়িয়েছে ভারত। কিন্তু কী পদক্ষেপ করা হতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। এ দিনের বৈঠকের পরে সরকারের সিদ্ধান্ত অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক শিবিরের মত।

সম্পর্কিত পোস্ট

লেবাননে সংঘর্ষে ইসরাইলের ৪ সেনা নিহত, আহত ১৪

banglarmukh official

খামেনি গুরুতর অসুস্থ, উত্তরসূরি হবেন কে?

banglarmukh official

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘নিশ্চিতভাবে’ প্রতিশোধ নেওয়া হবে: ইরান

banglarmukh official

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের কাছে গুলির ঘটনায় নিহত ৫

banglarmukh official

ফুটবল ম্যাচের জয় উদযাপনে এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত ৩

banglarmukh official

বিমানে বোমা হামলার হুমকির পর এবার দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

banglarmukh official