গত ৬ আগস্ট থেকে প্রায় প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, গাজা উপত্যকা থেকে নিয়মিত ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো এবং রকেট হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি এসব বেলুনের কারণে গত কয়েক দিনে সেদেশে চারশ’র বেশি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউন
সীমান্তের এই উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে থাকে মিসরের একটি প্রতিনিধি দল। ওই আলোচনায় যুক্ত হন কাতারের দূত মোহাম্মদ আল এমাদি। তেল আবিবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি হামাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
হামাসের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেলুন ও অন্যান্য হামলা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। বিনিময়ে ১৩ বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার থেকে তেল সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটি পুনরায় সচল হবে। এছাড়া গাজার ৫০ শতাংশেরও বেশি বেকারত্ব নিরসনে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কোনও বিঘ্ন হলে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।
তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারের মধ্যস্তায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রথম বারের মতো ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। বেশ কয়েকবার এর মেয়াদ বাড়ানো হলেও পরে ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র হয়ে উঠলে তা এক সময়ে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে হামাস। আর নতুন আরেকটি যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মধ্যস্ততাকারীরা।