বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কর্তৃক সাংবাদিক হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৮ পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসাথে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনার এস.এম রুহুল আমিন।
ডিবির নির্যাতনে গুরুত্বর আহত সুমন শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতিত সুমন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি’র বরিশাল অফিসের ক্যামেরাপারর্সন।
সুমন জানিয়েছেন, নির্যাতনের সময়ে তার গোপনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত করেছেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার।
ঘটনার বর্ননায় বলেন, সুমনের ভাগ্নেকে আটক করা হয়েছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল বিউটি সিনেমার গলিতে বিষয়টি জানতে যান ডিবিসি নিউজরে ক্যামেরাপার্সন সুমন। তখন সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে হঠাৎ ক্ষেপে যান এসআই আবুল বাশার। তিনি সুমনের ভাগ্নেকে আটকে রেখে মারধর করতে শুরু করেন সুমনকে। এসময়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে পিটাতে থাকে বলেও দাবী সমুনের।
সুমন জানায়, ডিবিসি চ্যানেলের কার্ড দেখালে মারধরের পরিমান আরও বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমার গোপনাঙ্গে বারবার আঘাত করছিল আর বাশার বলছিল তোরে আজ স্পট ডেট কইরা ফালামু। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা ভিড় করলে দ্রুত সুমনকে গাড়িতে তুলে নেয় এসআই বাশার ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। গাড়িতে তুলেও পিটাতে পিটাতে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।ডিবি অফিসে নিয়েও তার হাত-পা বেধে পেটায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য সুমনকে নিয়ে আসার সময়ে ওই ডিবি টিম কর্তৃক লাঞ্ছনার শিকার হন আরও কয়েকজন সাংবাদিক।
এ ঘটনায় এসআই আবুল বাশারসহ ৮ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. শাখায়াত হোসেন।