মো: সালাউদ্দিন আহমেদ:
২১ শে জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইস্যুকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ১৬ বলছে, সিএমএসএমই অধীনে কুটির, মাইক্রো এবং স্মল ব্যবসা নিম্নোক্ত উপায়ে শ্রেণীকরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নœমান থেকে ক্ষতি/মন্দ হওয়ার সময়কাল পরিবর্তন ছাড়া সবকিছুই আগের সার্কুলার অর্থাৎ বিআরপিডি ১৪/২০১২, তারিখ ২৩.০৯.২০১২, বিআরপিডি সার্কুলার ০৫/২০১৩ তারিখ ২৯.০৫.২০১৩ এবং বিআরপিডি সার্কুলার ০৩/২০১৯, তারিখ ২১.০৪.২০১৯ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে ৩১/১২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত কোন ঋণের শ্রেণীমান ০১ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত যা আছে তার থেকে বিরুপমানে শ্রেণীকরণে করা যাবে না বরং মান উন্নীত হলে তা দেখানো যাবে [বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৭, তরিখঃ ২৮/০৯/২০২০]। এক্ষেত্রে
০১. চলমান ও তলবী ঋণের মেয়াদ ৩১/১২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং
০২. মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তির পরিমান ও সংখ্যা ০১/০১/২০২১ ইং তারিখ থেকে পুনঃনির্ধারিত হবে। ০১/০১/২০২০ ইং থেকে ৩১/১২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত ঋণের কিস্তির সংখ্যা বিলম্বিত হিসেবে দেখাতে হবে। এই কিস্তির জন্য কেউ খেলাপী হিসেবে চিহ্ণিত হবে না। তবে কেউ যদি নিজস্ব তাগিদ থেকে বকেয়া কিস্তির টাকা পরিশোাধ করতে চায় তাহলে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারবে।
০৩.যেহেতু মেয়াদী ঋণের কিস্তির পরিমান ও সংখ্যা ০১/০১/২০২১ ইং তারিখ থেকে পুনঃনির্ধারিত হবে সেহেতু এই বর্ধিত সময়ের জন্য আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
এক নজরে অবজেক্টটিভ বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে কটেজ,মাইক্রো,স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএমএস ) এবং কৃষি ঋণের শ্রেণীকরণঃ
চলমান,
ডিমান্ড /তলবি ঋণ |
শ্রেণীকরণ
|
মেয়াদী ঋণ | সিএমএসপ্রভিশন | কৃষি | গৃহঋণ,
ব্রোকারেজ,মার্চেন্ট, স্টক ডিলার |
কঞ্জমার ঋণ | অন্যান্য/মিডিয়াম এবং বৃহৎ ঋণ | |
সময়কাল | সময়কাল | সময়কাল | প্রভিশন | প্রভিশন | ||||
নিয়মিত ঋণ | অশ্রেণীকৃত | ৬ ≤ | ০.২৫% | ৬ ≤ | ৫.০০% | ০২.০০% | ০৫.০০% | ০১.০০% |
মেয়াদউত্তীর্ণ হলেই অথবা ব্যাংক ডিমান্ড করার পর থেকে | পাাস্ট ডিউ /ওভারডিউ | মেয়াদউত্তীর্ণের ৬মাস পর থেকে অথবা ৬টি কিস্তি ডিউ হবার পর থেকে
|
০.২৫% | মেয়াদ উত্তীর্ণের ৬মাস পর থেকে অথবা ৬টি কিস্তি ডিউ হবার পর থেকে
|
৫.০০% | ০২.০০% | ০৫.০০% | ০১.০০% |
২≥<৬ | এসএমএ | ৬+২=৮≥<৬+৬=১২ | ০.২৫% | নেই | ৫.০০% | ০৫.০০% | ০৫.০০% | ০৫.০০% |
৬≥<১৮ | নিম্নমান | ৬+৬=১২≥<৬+১৮=২৪ | ৫.০০% | >১২ | ৫.০০% | ২০.০০% | ২০.০০% | ২০.০০% |
১৮≥<৩০ | সন্দেহজনক | ৬+১৮=২৪≥<৬+৩০=৩৬ | ২০.০০% | >৩৬ | ৫.০০% | ৫০.০০% | ৫০.০০% | ৫০.০০% |
৩০≥ | ক্ষতি/মন্দ | ৬+৩০=৩৬≥ | ১০০.০০% | >৬০ | ১০০.০০% | ১০০.০০% | ১০০.০০% | ১০০.০০% |
*০১.০০% প্রভিশন হবে সকল অব ব্যলেন্স সীট এক্সপোজারের উপর।
*শ্রেণীকরণ কলামটি সকল ঋণ ক্লাসিফিকেশনের জন্যই প্রযোজ্য শুধু সময়কাল এবং প্রভিশন ভিন্ন।
বিদ্রঃ পাাস্ট ডিউ/ ওভারডিউ এবং এসএমএ করার ক্ষেত্রে বিআরপিডি সার্কুলার ০৩/২০১৯ এবং ১৪/২০১২ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এসএমএ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সব ঋণই স্ট্যান্ডার্ড ঋণ। এসএমএ ঋণ অশ্রেণকৃত কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড নয়।
০১. সিএমএস বাদে গৃহঋণ, কন্জুমার ঋণ, সিএমএসএমই মিডিয়াম এবং বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণের শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে ০৩/১৯ এবং ১৪/১২ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যা নিচে তুলে ধরা হলো:
(ক)চলমান ঋণ/তলবী ঋণঃ
০১. পাাস্ট ডিউ /ওভারডিউঃ মেয়াদউত্তীর্ণ হলেই অথবা ব্যাংক ডিমান্ড করার পর থেকে ।
০২. এসএমএঃ ০২≥<০৩
০৩. নিম্নমানঃ ০৩≥<০৯
০৪. সন্দেহজনকঃ ০৯≥<১২
০৫. ক্ষতি/মন্দ ঋণঃ ১২≥
(খ)মেয়াদী ঋণঃ
০১. পাাস্ট ডিউ /ওভারডিউঃ মেয়াদউত্তীর্ণের ৬মাস পর থেকে অথবা ৬টি কিস্তি ডিউ হবার পর থেকে।
০২. এসএমএঃ ০২+০৬=০৮≥<০৩+০৬=০৯
০৩. নিম্নমানঃ ০৩+০৬=০৯≥<০৯+০৬=১৫
০৪. সন্দেহজনকঃ ০৯+০৬=১৫≥<১২+০৬=১৮
০৫. ক্ষতি/মন্দ ঋণঃ ১২+০৬=১৮≥
শ্রেণীকরণ ভিত্তিঃ
অবজেক্টটিভ বৈশিষ্ট ছাড়াও কোয়ালিটেটিভ জাজমেন্টের উপর নির্ভর করে ব্যাংক তার ঋণকে শ্রেনীকরণ করতে পারে । যেমনঃ
০১.এসএমএ ঋণঃ ব্যাংকের নীতিমালা পুরোপুরি অনুসরণ না করে যদি ঋণ দেয়া হয়। সঠিকভাবে যদি ডকুমেন্টশন না করা যায় এবং জামানতের উপর যদি নিয়ন্ত্রণ ঠুনকো হয়। সেক্ষেত্রে ঋণকে এসএমএ করা যেতে পারে।
০২.নিম্নমান ঋণঃ প্রায়শই ওভারডিউ থাকে, একাউন্ট টার্নওভার যদি ভাল না হয়, অপর্যাপ্ত তারল্য,ক্যাশ ফ্লো যদি ব্যাংক ইন্টারেস্ট এবং প্রিন্সিপাল এর চেয়ে কম হয়, নিম্নমুখী মুনাফা, বিচারাধীন মামলা এবং ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও সততার অভাব ইত্যাদি হলে নিম্নমান ঋণ করতে পারে।
০৩.সন্দেহজনক ঋণঃ এখানে নিম্নমানের ঋনের বৈশিষ্ট্যের মতই আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।
০৪.ক্ষতি/মন্দ ঋণঃ নতুন ঋণ খুজঁছে অপরেশনাল ক্ষতিকে মেটানোর জন্য, উৎপাদনের ব্যয়ের চেয়ে নগদ প্রবাহ কম হলে, অবসায়ন ছাড়া কোন উপায় না থাকলে, মানি লন্ডারিং এর উপস্থিতি থাকলে, প্রতারণা, আত্তসাত ও ক্রিমিনাল কার্যক্রমের উপস্থিতি পেলে ক্ষতি/মন্দ ঋণ করা যেতে পারে।
ঋণের প্রকারভেদঃ
ঋণকে চারভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
০১. চলমান ঋণঃ এর মধ্যে রয়েছে সিসি এবং ওডি । এই ঋণটি নবায়ন করা যায়। এছাড়া নির্দিষ্টে ঋণসীমা এবং মেয়াদের ভেতর যত খুশি তত লেনদেন করা যায়।
০২.ডিমান্ড ঋণঃ যে ঋনের টাকা ব্যাংক চাহিবামাত্র পরিশোধিত হতে হবে তাকে ডিমান্ড ঋণ বলে। ফোর্সড ঋণ, পিএডি, লিম এর বিপরীতে ফোর্সড ঋণ, ফরেন বিল পারচেইজড এবং ইনল্যান্ড বিল পারচেইজড।
০৩. মেয়াদী ঋণঃ যে ঋণগুলোর স্পেসিফিক পিরিয়ড এবং স্পেসিফিক রিপেমেন্ট সিডিউল থাকে।
০৪. স্বল্পমেয়াদী কৃষি এবং স্বল্পমেয়াদী ক্ষুদ্র ঋণঃ এই ঋণ ১২ মাসের মধ্যে পরিশোধিত হবে অর্থাৎ ঋণের মেয়াদ ১২ মাসের বেশী হবে না । যেমনঃ অকৃষি ঋণ, সেল্ফ রিলায়েন্ট ঋণ তাতঁী ঋণ এবং ব্যাংকের ব্যক্তিগত প্রোজেক্ট ঋণ। স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ কোন কোন ক্ষেত্রে দেয়া যাবে এবং স্বল্পমেয়াদী ক্ষুদ্র ঋণের টাকা কত হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের Agricultural Credit and Financial Inclusion Department (ACFID) প্রতিবছর সার্কুলার ইস্যু করার মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়।
শ্রেনীকরণের মান উন্নীতকরণ:
০১.কোন শ্রেণীকৃত ঋণকে ক্ষতি থেকে সন্দেহজনক কিংবা নিম্নমান করতে হলে উক্ত ব্যাংকের চীফ ক্রেডিট অফিসার কিংবা চীফ ফাইন্যান্সিয়ার অফিসারের মতামত ও বিবেচনায় করা যেতে পারে।
০২.আর কোন শ্রেণীকৃত ঋণকে যদি এসএমএ কিংবা ডিক্লাসিফাই করতে হয়, তাহলে অবশ্যই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এবং বোর্ড অব ডিরেক্টরের সিদ্ধান্তে বিবেচিত হতে হবে।
০৩.বাংলাদেশ ব্যাংকের অন সাইট ইন্সপেকসন এর সময় যদি কোন ঋণ ক্লাসিফাই হয় যেখানে ব্যাংকের সাথে মতের মিল নেই, সেক্ষেত্রে ব্যাংক উক্ত ক্লাসিফিকেশনের জন্য রিভিউ করতে পারে, যেটা বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানায়। যেক্ষেত্রে দেরী হবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন সাইট ইন্সপেকসনের সিদ্ধান্তেই বহাল থাকবে।
শ্রেনীকৃত ঋণের সুদ হিসাবায়ন:
০১.কোন ঋণ যদি নিম্নমান কিংবা সন্দেহজনক হয় তাহলে তার সুদ আয় হিসাবে না দেখিয়ে ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে দেখাতে হবে। এমনকি পুনঃতফসিলীকৃত ঋণের অনারোপিত সুদ আয় হিসাবে না দেখিয়ে ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে দেখাতে হবে।
০২.যখন থেকে ঋণটি ক্ষতি হিসেবে শ্রেণীকৃত হবে তখন থেকে সেটির সুদ হিসাবায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। কোন বিশেষ কারনেও যদি ক্ষতিজনক ঋণে সুদ হিসাবয়িত হয় তবুও তা ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে দেখাতে হবে।
০৩. যদি কোন শ্রেনীকৃত ঋণ আদায় হয় সেক্ষত্রে প্রথমে আরোপিত এবং অনারোপিত সুদ অদায় করতে হবে।পরবর্তীতে মূল টাকা আদায় হবে।
প্রভিশন সংরক্ষণঃ
০১.ঋণ থেকে ক্ষতি হবেই যাকে প্রত্যাশিত ক্ষতি বলে এবং সেই ক্ষতি থেকে বাচাঁর জন্যই ঋণ প্রভিশন রাখা হয়। জেনারেল প্রভিশন রাখা হয় অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু অশ্রেণীকৃত এবং এসএমএ ঋণের উপর যা ভবিষ্যৎতে অনাদায়ী থেকে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা ছাড়া, জেনারেল প্রভিশনে রক্ষিত টাকা টায়ার-০২ মূলধনে অন্তর্ভুক্ত হবে।
০২.অপরদিকে স্পেসিফিক প্রভিশন ধরা হয় নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং ক্ষতি হতে পারে এমন ঋণের উপর যা টায়ার-০২ মূলধনে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
রেফারেন্সঃ
০১.বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৭, তরিখঃ ২৮/০৯/২০২০
০২. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৪, তরিখঃ ১৯/০৩/২০২০ ( বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৭/২০, দ্বারা রহিত হলো)
০৩. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৩, তরিখঃ ১৫/০৬/২০২০ ( বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৭/২০, দ্বারা রহিত হলো)
০৪. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৬, তরিখঃ ২১/০৭/২০২০.
০৫. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৩, তরিখঃ ২১/০৪/২০১৯. (বলবৎ ৩০.০৬.২০১৯ থেকে)
০৬. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৮, তরিখঃ ০২/০৮/২০১৫.
০৭. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৬, তরিখঃ ১৮/১১/২০১৪.
০৮. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৫, তরিখঃ ২৯/০৫/২০১৩.
০৯. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৯, তরিখঃ ২৭/১২/২০১২. (বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৩/১৯, দ্বারা রহিত হলো)
১০. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৪, তরিখঃ ২৩/০৯/২০১২.
১১. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৭, তরিখঃ ১৪/০৬/২০১২. (বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৪/১২, দ্বারা রহিত হলো)
১২. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ৩২, তরিখঃ ২৭/১০/২০১০. (বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৭/১২, দ্বারা রহিত হলো)
১৩. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৫, তরিখঃ ২৯/০৪/২০০৮. (বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৭/১২, দ্বারা রহিত হলো)
১৪. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১০, তরিখঃ ১৮/০৯/২০০৭. (বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৭/১২, দ্বারা রহিত হলো)
১৫. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৫, তরিখঃ ০৫/০৬/২০০৬. (বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৭/১২, দ্বারা রহিত হলো)
১৬. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৮, তরিখঃ ১৬/১০/২০০৫.
১৭. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৯, তরিখঃ ২০/০৮/২০০৫.
১৮. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০২, তরিখঃ ১৫/০২/২০০৫.
১৯. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০৪, তরিখঃ ০৭/০৪/২০০৫.
২০. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০২, তরিখঃ ২০/০১/২০০৪.
২১. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ০২, তরিখঃ ১৮/০১/১৯৯৯.
২২. বিঅরপিডি সার্কুলার নং ১৬, তরিখঃ ০৬/১২/১৯৯৮.
মো: সালাউদ্দিন আহমেদ
সিনিয়ার এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং ক্রেডিট ইনচার্জ
ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ
বরিশাল শাখা
মোবাইল নংঃ ০১৭৩১-৪০২৫৭৯