স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর ডাক্তারপাড়া খ্যাত বাটারগলিতে সড়কের দুপাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারনে বিপাকে পড়েছে ওখানকার বাসিন্দারা।বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে সন্ধানাগাধ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভীরে সগরম হয়ে উঠে শহরের ওই এলাকাটি।এতে সকলেই যাতায়াতের সুবির্ধাতে মোটরসাইকেল,কেউ তিনচাকার যানবাহন নিয়ে কেন্দ্রমুখী হচ্ছে বাটারগলিতে।
একপর্যায়, রোগীর স্বজনরা তাদের যানবাহন নিয়ে পড়ে তোপেড় মুখে।এর প্রধান কারন হল,সড়কটির আয়তনের ক্ষেত্র বিবেচনা করলে,হাতে গোনা গুটি কয়েক গাড়ি রাখার সক্ষমতা রাখে।সেখানে প্রতিদিন অর্ধশত মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন ভারি যানবাহন রেখে সড়কটির হযবরল অবস্থা বানিয়ে ফেলে। যদিও অত্র এলাকাবাসী এর দায় দিচ্ছেন ডায়াগনস্টিক মালিকদের দিকে।
জানা যায়,শহর জনপদের প্রানকেন্দ্র বাটারগলিতে পুর্বথেকেই গড়ে উঠেছে গুটি কয়েক ডায়াগনস্টিক সেন্টার।এখানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসকরা নিয়মিত চেম্বার করার প্রক্কালে স্বনামধন্য হয়ে উঠেছে অত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি। এর মধ্য কনিকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার,গ্লোব ডায়াগনস্টিক সেন্টার,কে এশিয়া ল্যাব,ন্যাশনাল মেডিকাল সার্ভিস,লস্কর ভিলা(প্রাইভেট চেম্বার)সহ চিকিৎসকদের বিশেষ প্রাইভেট চেম্বার রয়েছে।
যদিও সরেজমিন দেখা গিয়েছে,ন্যাশনাল মেডিক্যাল সার্ভিস ও কে-এশিয়া ল্যাবের মধ্যস্থানে রয়েছে একটি ফাঁকা স্থান।তবে সেই স্থানে অত্র ভবন মালিক আব্দুল খালেক ওরফে সেন্টুমিয়ার নির্দেশে গেটটি সর্বদা তালা তালা মারা থাকে।একমাত্র তার পরিচালিত ডায়াগনস্টিক ল্যাবের স্টাফদের গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন প্রবেশ নিষেধ করা হয়। এতে রোগীদের যানবাহন এবং গাড়িগুলো উপায়ন্তর না পেয়ে সড়কে রেখে চলে যায়।
অন্যদিকে লস্কর ভিলা নামক একটি ভবনের সম্মুখে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান থাকলেও সেটাও থাকে গেটলকের ন্যায়।যদিও ওই ভবনটিতে কিছু প্রাইভেট চিকিৎসকরা নিয়মিত শতশত রোগী দেখেন। এতে চরম বিপাকে পড়ে অত্র এলাকাবাসী।প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা গ্লোব-কনিকা নামক ডায়াগনস্টিক গুলো আয় করে নিলেও তাদের গাড়ি পার্কিং নিয়ে নেই মাথাব্যাথা।এছাড়া সড়কটিতে শৃঙ্খলামত গাড়ি দেখভাল করার নেই কোন স্টাফ।
মোদ্দকথা,এলাকাবাসীকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলে বহাল তবিয়তের ন্যায় তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন বসবাসকারী বাটারগলির বাসিন্দা সৈয়দ রিয়াজ জানান, আমরা গুটিকয়েক পরিবার দীর্ঘদিন যাবত এখানে বাস করে আসছি।প্রতিদিন আমাদের এই যত্রতত্র পার্কিং এর জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়।এমনকি রোগীর স্বজনদের সাথে আমাদের ঝুট ঝামেলা লেগেই থাকে।এনিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ল্যাব মালিকদের অবহিত করলেও তারা তোয়াক্কা না করে বরংচ নিজেদের ইচ্ছেমত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ডায়াগনস্টিক ল্যাবগুলোর সামনে স্ব স্ব জায়গা থাকলেও সেগুলা তারা খুলছেনা।এতে সড়কের উপর রোগীরা গাড়ি রেখে চলে যাচ্ছেন। তারা এমনভাবে গাড়িগুলো রাখে একটি শিশু যাওয়ার ঠাঁই থাকেনা।এমনকি যদি কোন দুর্ঘটনাও ঘটে ফায়ারসার্ভিসের গাড়িও বটে সড়কের মুখ থেকে ফিরে যাবে।আমি চাই সড়কের উপর শৃঙ্খলা বজায় রেখে বিকল্প পদ্ধতিতে তারা গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করুক।নাহলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে অপ্রিতীকর ঘটনা।
অত্র এলাকার বাসিন্দা,সৈয়দ মাহিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এখানে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির স্টাফরা(রিপ্রেজেন্টিভ) যেভাবে সড়কে গাড়ি রেখে এবং পথরোধ করে ধুমপান করে,মনে হয় এটি একটি বিনোদন কেন্দ্র।যদিও একাধিকবার ডায়াগনস্টিক কতৃপক্ষ তাদের ৯ টার পর আসার সময় বেধে দেন।সেখানে বিকাল নাগাদই নেমে আসে হাসি,তামাশা আর আড্ডার প্রশান্তির স্থান।তাছাড়া আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা নিয়মিত আসা যাওয়ার প্রাক্কালে ব্রিবতকর অবস্থায় পড়ে।এমনকি সড়কটির প্রধান মুখে রিকশা থেকে নেমে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়।
যদি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন সুরাহা না দেয় তাহলে ঘটে যেতে পারে অপ্রিতীকর ঘটনা।তাই সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং দ্রুতসম্ভব সমাধান করার আশা করছি।
অত্র এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দা, সৈয়দ সাজদা,রাজু,কনক,লিটন,স্বপন, জসীম,রফিক, মজিদ মাস্টার সহ সকলে অভিযোগ করে বলেন,প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল গুলো সড়কের দুপাশে অশৃঙ্খল ভাবে সারিবদ্ধ করে রাখে। এতে যাতায়াত সহ প্রয়োজনীয় কাজে আমরা এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হই।তাই সকল ডায়াগনস্টিক মালিকদের প্রতি অনুরোধ যে আপনারা, পার্কিং এর ব্যবস্থা করুন নাহয় এর বিকল্প পদ্ধতিতে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করুন।সেক্ষেএে কিছুটা হলেও আমরা ভোগান্তি থেকে রেহাই পাব।