তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন অপরিহার্য। তাই আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হিসেবে তিন লাখ শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমানে পাঠদানে আনা হয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক পরিবর্তন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে ৫৩ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম। দেশের ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়েছে একটি করে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর।
শনিবার কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে আইটিতে দক্ষ শিক্ষার্থী গড়ে তোলা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ১২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করা হয়েছে ৬ হাজার শেখ রাসেল ল্যাব। আরও ১৫ হাজার ল্যাব শিগগিরই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ২৮টি আইটি পার্ক নির্মাণ করছে। তার মধ্যে মহেশখালীতেও একটি রয়েছে। রামুতে ৮ একর জায়গার ওপর ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ। এখানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে কক্সবাজার ডিজিটাল সার্ফিং সিটি বিশ্বে পরিচিতি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারকে প্রচুর ভালোবাসতেন। তার স্বপ্ন ছিল কক্সবাজারকে বিশ্ব মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত ৯ বছরে কক্সবাজারে অনেক উপহার দিয়েছেন তিনি। এখানে নির্মাণাধীন রয়েছে বিশ্ব মানের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মাতারবাড়িতে হচ্ছে পাওয়ার হাব। সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরসহ একাধিক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে কক্সবাজারে। আগামীতে কক্সবাজার হবে আন্তর্জাতিক পর্যটন ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রজতজয়ন্তীর উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ডিন কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আহামদ হোসেন, কলেজের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ও ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম।
‘২৫‘র উচ্ছ্বাসে, এসো মিলি ক্যাম্পাসে’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকালে কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্যে কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। র্যালিটি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে বর্তমান ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় রূপ নেয়। আলোচনার পর মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। বিকেলে স্মৃতিচারণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে।