বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নামে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের হিসাব দেখানোর অভিযোগে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আকবর উজ্জামান নামে এক ঠিকাদারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদের পর ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আকবর উজ্জামান পলি কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলে জানা গেছে।গতকাল বুধবার বিকেলে কোতোয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও নগরীর আর্শেদ আলী সড়কের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জিয়া। (যার নম্বর-৯২)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর প্যারারা রোড এলাকার বাসিন্দা আকবর উজ্জামানের সাথে তার ব্যবসায়ীক অশিংদার মেহেদী হাসান সুমনের সাথে পাওনা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এনিয়ে গত ২৯জুন মঙ্গলবার রাতে একটি শালিসী বৈঠক হয়। সেখানে অভিযুক্ত আকবর উজ্জামান বেশকিছু হিসাব নিকেশের কাগজ উপস্থাপন করে। তাতে দেখা যায় সিটি মেয়রের নামে মোটা লেনদেনের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। এসময় শালিসদার ফজলুল করিম শাহিন উপস্থাপিত কাগজপত্রে মেয়রের নামে মোটা লেনদেনের বিষয় উল্লেখ থাকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক তা মেয়রকে অবহিত করেন। পাশাপাশি বিষয়টি ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক হওয়ায় বাদী জিয়াউর রহমান জিয়াকেও বিষয়টি জানানো হয়। জিয়া বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষনিক শালিসের স্থানে যায় এবং মেয়রের নামে লেনদেনের হিসাব দেখে বিস্মিত হন এবং বিষয়টি তিনি মেয়রকে অবহিত করেন।
মেয়র বিষয়টি জেনে কাগজপত্রসহ অভিযুক্ত নিয়ে তার বাসায় যেতে বলেন। পরবর্তীতে মেয়র ওইসকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন এবং অভিযুক্তকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।একারনে বাদীসহ কয়েকজন স্বাক্ষী অভিযুক্ত আকবর উজ্জামানকে সাথে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় যান এবং আকবরকে পুলিশে সোর্পদ করেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, আসামী অপরাপর ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে মেয়রের নামে ভুয়া কাগজপত্র প্রতারণার উদ্দেশ্যে তৈরী করে মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আকবর উজ্জামানকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।