আরাফাত সানির করা লেগ মিডলের ডেলিভারিটি আলতো করে অনসাইডে ঠেলে দিয়েই কাঙ্ক্ষিত রানটি নিয়ে নিলেন লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের নাইম ইসলাম, পূরণ করলেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। তবে এই সেঞ্চুরিটি আগেরগুলোর চেয়ে খানিক ব্যতিক্রমই বলতে হবে।
কেননা এই সেঞ্চুরির আগের তিন ইনিংসেই নার্ভাস নাইন্টি তথা নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ৯২, শেখ জামালের বিপক্ষে ৯৫ ও প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে নাইম কাটা পড়েছিলেন ৯১ রানে গিয়ে। তিনবারই পুড়তে হয়েছে সেঞ্চুরি মিসের বেদনায়।
অবশেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেলেন নাইম। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তার ব্যাটে চড়েই আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের দিকে ছুটছে রূপগঞ্জ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৬ ওভার শেষে রুপগঞ্জের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬৩ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা রুপগঞ্জের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না রপগঞ্জের। দলীয় ২৬ রানেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার আব্বাস মুসা (৫) ও তানজিদ হাসান তামিম (১৫)। তৃতীয় উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন নাইম ইসলাম ও চিরাগ জানি। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন চিরাগ।
এরপর রকিবুল হাসানকে নিয়ে ৫৭ রান যোগ করেন নাইম। দলীয় ১৭২ রানে রকিবুল ফিরে গেলে সাব্বির রহমানের সঙ্গে মিলে রানরেট বাড়ানোর মিশনে মন দেন নাইম ইসলাম। একপর্যায়ে ৭৫ বলে ৬০ রানে ব্যাট করতে থাকা নাইম পরের ৪০ রান নেন মাত্র ২৪ বলে।
ইনিংসের ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পথে ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান নাইম। সেঞ্চুরির পর আরও ১০ বল থেকে ২৪ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার। সবমিলিয়ে ১৪ চার ও ৪ ছয়ের মারে ১০৯ বলে ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন নাইম।
অন্যদিকে এক চার ও দুই ছয়ের মারে ২০ বলে ৩০ রান করে আউট হয়েছেন সাব্বির রহমান।