একটি জিকির। যার পুরস্কার দেবেন স্বয়ং আল্লাহ। কারণ ফেরেশতারা উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন এ জিকিরের বিনিময় কী লিখবেন; তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। ফজিলতপূর্ণ এ জিকিরটি কী; যার পুরস্কার দেবেন স্বয়ং আল্লাহ?
একবার এক সাহাবি মহান আল্লাহকে স্মরণ করতে গিয়ে চমকপ্রদ কিছু বাক্য উচ্চারণ করলেন। যা খুবই ফজিলতপূর্ণ। মহান আল্লাহ ওই সাহাবির আমলনামায় তার পঠিত বাক্যগুলো হুবহু লিখে রাখার কথা বললেন। তাহলো-
يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া লিআজিমে সুলত্বানিকা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনার মহিমান্বিত চেহারা এবং আপনার রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা শুধু আপনার জন্য।’
হাদিসের দীর্ঘ এক বর্ণনায় বিষয়টি এভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে এক বান্দা বললো-
يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া লিআজিমে সুলত্বানিকা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনার মহিমান্বিত চেহারা এবং আপনার রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা শুধু আপনার জন্য।’
(সম্মানিত) দুই ফেরেশতা এ জিকিরের (প্রশংসার) কথা শুনে হতবাক হলেন এবং তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে, তা কীভাবে (এর সওয়াব) লিখবেন। তাই তারা আসমানে গিয়ে বললেন- হে আমাদের প্রভু! আপনার এক বান্দা এমন এক বাক্য বলেছে, তা আমরা কীভাবে লিখবো বুঝতে পারছি না।
মহান আল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, আমার বান্দা কি বলেছে? যদিও তিনি বান্দার বিষয়গুলো জানেন। দুই ফেরেশতা বললেন, ‘হে আমাদের প্রভু! সে বলেছে-
يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া লিআজিমে সুলত্বানিকা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনার মহিমান্বিত চেহারা এবং আপনার রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা শুধু আপনার জন্য।’
মহান আল্লাহ তাআলা এবার ফেরেশতাদের বললেন, আমার বান্দা যেভাবে বলেছে; ঠিক সেভাবেই লিখে রাখ। (পরকালে) আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই আমি তাকে তার বিনিময় দান করবো।’ (ইবনে মাজাহ)
মুমিন মুসলমানের জন্য জিকিরটি অনেক মর্যাদার। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা যার প্রতিদান দেবেন। এ জিকিরের উসিলায় মুমিন বান্দা সহজেই মহান আল্লাহর দিদার পেয়ে ধন্য হবেন। কারণ, আল্লাহ তাআলার সরাসরি সাক্ষাতই হবে মুমিন বান্দার জন্য সেরা উপহার। অথচ বিশ্বনবির ঘোষণা অনুযায়ী, মুমিন বান্দার এ জিকির পাঠের বিনিময় সরাসরি আল্লাহর দিদার পাওয়ার সময়ই পাবেন।
মুমিন মুসলমানের উচিত, মর্যাদা সম্পন্ন জিকিরটি বেশি বেশি পড়া। আল্লাহর প্রশংসায় নিজেদের নিয়োজিত রাখা। আল্লাহর কাছ থেকে সরাসরি পুরস্কার পাওয়ার জন্য এ জিকির পড়া। বিশেষ করে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জিকিরটি এভাবে পড়া-
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ – يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবারাকান ফিহি। ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া লিআজিমে সুলত্বানিকা।’
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা। হে আমার প্রভু! আপনার মহিমান্বিত চেহারা এবং আপনার রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা শুধু আপনার জন্য।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভে উল্লেখিত তাসবিহ বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। নামাজের রুকু থেকে দাঁড়িয়েও এ আমলটি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।