আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার দুপুরের পর শ্রীলঙ্কার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী দিনেশ গুনাবর্ধনের হাতে থাকছে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, প্রাদেশিক পরিষদ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আরও ১৭ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
ডগলাস দেবানন্দ মৎস্যসম্পদ; সুশীল প্রেমজয়ন্ত শিক্ষা, বন্দুলা গুনাবর্ধনে পরিবহন, মহাসড়ক ও গণমাধ্যম; কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা স্বাস্থ্য ও পানি সরবরাহ; মাহিন্দা অমরাবিরা কৃষি, বন্য প্রাণী ও বন সংরক্ষণ; ড. বিজয়াদাসা রাজাপক্ষে বিচার, কারাগার ও সাংবিধানিক সংস্কার; হারিন ফার্নান্দো পর্যটন ও ভূমি; রমেশ পাথিরানা বৃক্ষরোপণ ও শিল্প; প্রসন্ন রানাতুঙ্গা নগর উন্নয়ন ও আবাসন; আলী সাবরি পররাষ্ট্র; বিদুর বিক্রমনায়েকে বুদ্ধশাসন, ধর্মীয় ও সংস্কৃতি; কাঞ্চনা উইজেসেকেরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি; নাসির আহমেদ পরিবেশ; রোশন রণসিংহ ক্রীড়া, যুববিষয়ক ও সেচ, মনুষা নানায়াক্কারা শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান; তিরান আলেস জননিরাপত্তা এবং নলিন ফার্নান্দো বাণিজ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এর আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শুক্রবার শপথ নিয়েছেন প্রবীণ আইনপ্রণেতা দিনেশ গুনাবর্ধনে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট অফিসের বাইরে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পরপরই শপথ নেন দিনেশ গুনাবর্ধনে। শপথগ্রহণের সময় প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, আইনপ্রণেতা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও আজ শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে প্রেসিডেন্ট অফিসের বাইরে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় যেসব তাঁবুতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করছিল, সেগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভস্থল থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর সময় বিবিসির এক সাংবাদিককে মারধর করেন সেনাসদস্যরা। ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলা হয়।