অনলাইন ডেস্ক ::: দুদিন যেতে না যেতেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়। সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৮১ হাজার ২৯৮ টাকা।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে ২৭ জুলাই স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
ভালো মানের স্বর্ণের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের স্বর্ণের দাম। মান অনুযায়ী প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৯২৫ টাকা থেকে ২ হাজার ৭৪১ টাকা পর্যন্ত। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এছাড়া স্বর্ণ অলঙ্কার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি গ্রামে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা মজুরি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাজুস। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের কমপক্ষে ৮৪ হাজার ৭৯৭ টাকা গুনতে হবে।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।
এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। যা ২৯ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৫৬৬ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯২৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬ হাজার ৪৮৫ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৪৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ১৭১ টাকা করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার আগের দামই বহাল রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৫৫৭ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকা করা হয়। সে সময় অপরিবর্তিত রাখা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম।