বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (বিসিসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও হাতপাখা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। বুধবার (১০ মে) দুপুর সোয়া ১২টায় তিনি নতুল্লাবাদ আঞ্চলিক (রিটার্নিং কর্মকর্তা) নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি ৩০ মিনিট অবস্থান নিয়ে লিখিত জবাব দিয়ে পৌনে ১টায় বের হন। এরপর প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নির্বাচন কমিশন আমাকে কারণ দর্শানোর যে নোটিশ দিয়েছে, আমি সশরীরে উপস্থিত হয়ে নোটিসের জবাব দিয়েছি।
recommended by
GREEN COFFEE
চিকন হতে চান? এটি ব্যাবহার করুন ২ সপ্তাহে ২৭ কেজি হারানোর জন্য
আরও জানুন
ফয়জুল করিম বলেন, যেহেতু আইনের বিষয়টি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলাম না। তাই ভুল হতে পারে। নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে না এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের দেওয়া নোটিসের জবাব দিয়েছেন। লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, আইনের বিষয়টি তার ভালোভাবে জানা ছিল না। শোডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়েছে, সে জন্য তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কার্যক্রম পরিচালিত করবেন না- এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমের লিখিত জবাবে তারা সন্তুষ্ট।
এর আগে সোমবার বিকেলে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীতে শোভাযাত্রা করেন হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীম। তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালে পৌঁছলে নগরের প্রবেশমুখ গড়িয়ার পাড় থেকে মোটরশোভাযাত্রা করে আলেকান্দা আমতলা মোড়ে নিয়ে যান দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আর হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর এমন ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত শোকজ নোটিসে উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেল, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা প্রদর্শন করে আচরণবিধি ৫৭(ক), ১১(২) ও ১৩(৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ফয়জুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদানের খবর জানতে পেরে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আগেই মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করেছে ইসলামী আন্দোলন।’