এপ্রিল ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রচ্ছদ বরিশাল

মাত্র একদিনেই পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে গত ২৬ মে। এদের মধ্যে সাতজন মেয়র প্রার্থী, ১১৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৪২ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

প্রতীক পাওয়ার পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট চেয়ে চলছে মাইকিং। এক প্রার্থীর প্রচার গাড়ি না যেতেই হাজির হচ্ছে আরেক প্রার্থীর প্রচার মাইক। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

শুধু তাই নয়, প্রতীক প্রদানের একদিনের মধ্যেই প্রার্থীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে শহরের প্রতিটি অলিগলি। এক প্রকার পোস্টারের শহরে রূপ নিয়েছে বরিশাল। পোস্টার-ব্যানার প্রার্থীদের পরিচয় যেমন তুলে ধরছে, তেমনি নগরজুড়ে নির্বাচনের অবয়ব সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

সরেজমিনে নগর ঘুরে দেখা গেছে, ‘শহরের সদর রোডের রাজপথসহ প্রতিটি অলিগলিতে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টার সাটানো হয়েছে। দড়ি দিয়ে পোস্টার বেঁধে তা ঝুলানো হয়েছে রাস্তার ওপর। আবার নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রার্থীদের সাদা-কালো ব্যানার লাগানো হয়েছে রাস্তার পাশে। লেমিনেটিং করা হয়েছে ঝুলন্ত পোস্টারগুলো। এর ফলে বৃষ্টির পানিতেও নষ্ট হচ্ছে না পোস্টারগুলো।

নগরবাসী জানিয়েছে, ‘২৬ মে শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকেই প্রধান সড়কসহ প্রতিটি অলিগলিতে পোস্টার-ব্যানার লাগানো শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে ছিলো ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী। তাঁর অনুসারীরা প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নগরজুড়ে পোস্টার সাটিয়েছেন। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই সকল প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী। আর একদিনের মাথায় পোস্টারের নগরীতে পরিণত হয়েছে বরিশাল শহর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে মেয়র পদপ্রার্থীসহ অন্তত ১২-১৬ জন প্রার্থী পোস্টার সাটিয়েছেন। এর ফলে রাস্তা-ঘাটে নতুন করে পোস্টার সাটানোর জয়গা খুঁজে পাওয়াটা এখন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও সব মেয়র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানারের দেখা মেলেনি। দলীয় মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানারই দৃষ্টি কাড়লেও জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমানের গোলাপ ফুলের পোস্টার চোখে পড়ছে না।

আবার ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপন এবং হরিণ প্রতীকের মো. আলী হোসেন হাওলাদারের পোস্টার-ব্যানার দেখা গেলেও ‘হাতি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মো. আসাদুজ্জামানের পোস্টার দেখা যাচ্ছে না।

সিটি করপোরেশনের ভোটাররা বলছেন, ‘পোস্টারে থাকা অনেকেই প্রার্থীই ভোটারদের কাছে অপরিচিত। ছবিতেই তাদের প্রথম দেখা যাচ্ছে। তবে পোস্টার-ব্যানার নয়, যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট দিবেন ভোটাররা। এমনটিই দাবি ভোটারদের।

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official