পটুয়াখালীর ঝাউতলা সড়কটি আর্ন্তজাতিকভাবে আলোচিত হয়ে উঠেছে। শহরে প্রবেশ করলে চোখে পরবে, পায়ে হাটার জন্য ওয়াক জোন, বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসার স্থান। সড়কের মাঝখানে সবুজের সমাহার। রাতে পর্যাপ্ত আলোর জন্য রয়েছে সিংগাপুরের আদলে লাইটিং। তবে পটুয়াখালীর এই দৃষ্টিনন্দন রাস্তাটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে কাশ্মীরের একটি রোড হিসেবে দাবি করার পর।
জানা গেছে, গত ১৮ মে জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ তাদের অফিশিয়াল টুইটার থেকে একটি আলোকসজ্জিত রাস্তার ছবি টুইট করে লেখা হয়, ‘শ্রীনগরের বুলেভার্দ রোডকে অসাধারণ সজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সারা পৃথিবী থেকে যে প্রতিনিধিরা আসছেন, তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন।’ তবে ছবিটি যে ভারতের নয় সেই ভুলটি ধরেছে ভারতের অনলাইন পোর্টাল দ্য কুইন্ট ডটকম। তারা অনুসন্ধার করে জানতে পেরেছে ছবিটি বাংলাদেশের ছবি। সেই থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ প্রসংগে সংবাদ প্রচার হতে থাকে। ছবিটি ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়ও।
তবে ছবিটি ভাইরাল হবার পর ঝাউতলার সেই রোডে বেড়েছে দর্শনার্থীদের ভীড়। সন্ধার পর অনেককেই দেখা গেছে ঝাইতলার রোডে দাড়িয়ে সেলফি তুলতে। ফেসবুকে ছবি আপলোড দিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। সেলফি রোড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উক্ত রাস্তাটি। রাস্তাটিতে প্রবেশ করলে দেখা যাবে আধুনিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে সকল ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সড়কের মাঝখানে সবুজের সমাহার। রাতের চলাচলে সড়কের মাঝখানে এবং ফুটপাতে পর্যাপ্ত আলোর জন্য করা হয়েছে লাইটিং ব্যবস্থা। রাস্তাটি ভাইরাল হবার পর পটুয়াখালীর স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সেলফি তুলে ক্যাপশনে লিখেছে“ পটুয়াখালীর সেলফি রোডে আছি”
স্থাণীয় বাসিন্দা ফিরোজ সিকদার বলেন, আমি মাঝে মাঝেই ঝাউতলায় আসি। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে ঝাউতলার এই সেলফি রোড ভাইরাল হবার পর এখন এখানে আসতে আরও ভালো লাগছে। আমি পরিবার নিয়ে সন্ধার পর আসব মাঝে মাঝে।
পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দীন আরজু বলেছেন, এই জেলা শহরকে নান্দনিক ও পর্যটনমুখী গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি আমরা।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে পটুয়াখালীর উন্নয়নের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছে আমি সেই বরাদ্দ দিয়ে পটুয়াখালীতে এই দৃষ্টিনন্দন কাজ করেছি।