আজ ১৮ মে থেকে বরিশালসহ সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন। সাত দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বরিশাল সিটিসহ জেলার ১০টি উপজেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৬৪ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ‘নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৮ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবারের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫ হাজার ২৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪৪ হাজার ৭৮০ জন শিশু। যাতে কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পরে সে জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কেন্দ্র ভাগ করে সাতদিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে।
তিনি জানান, ‘ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের জন্য নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ২২০টি কেন্দ্র রয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার সংলগ্ন ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ হোসেন আলী সড়কে মথুরানাথ পাবলিক স্কুলে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে।
অপরদিকে, ‘বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার ৮৯টি ইউনিয়নের ২৬১টি ওয়ার্ডের মোট ২ হাজার ৮৮টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র এবং প্রতি উপজেলায় একটি করে অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রসহ মোট ২ হাজার ১০৭টি টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান।
তিনি জানান, ‘এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে কাজ করবেন ৪ হাজার ২১৪ জন স্বেচ্ছাসেবী। যারা ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৯ জনকে দুই লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রংয়ের ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৪ হাজার ৩১৫ জন শিশুকে ১ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রংয়ের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান বলেন, ‘প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে দুজন স্বেচ্ছাসেবক ও একজন করে প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্র অর্জনে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এবার বরিশালের চারটি উপজেলায় বাদ পড়া শিশুদের ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য চারদিনের সার্চিং কর্মসূচি রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো- নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলা। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ ১০টি ইউনিট থাকবে যারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরেঘুরে শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুর খাওয়াবেন।
‘ভিটামিন ‘এ’ শরীরে উৎপাদন হয় না। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে চোখে ক্ষতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলাসহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হয়। তাই শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরি বলে উল্লেখ করেন সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান।