আর দুই দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় বেড়েছে গাছের গুঁড়ির খাটিয়ার কদর। রোববার নগরীর অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড় ও বাজারের সামনে খাটিয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এমন চিত্র দু’দিন আগেও ছিলো না। শুধু যে ব্যবসায়ীরা বসে থাকছেন এমন নয়, তাদের কাছ থেকে ক্রেতারা দাম-দর করে এসব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
খাটিয়া বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছোট, মাঝারি ও বড় তিন ধরনের খাটিয়া রয়েছে। একটি ছোট খাটিয়া ১৫০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
নগরীর নাজিরপোলে গাছের গুঁড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, আমি মূলত ভ্যানে করে মৌসুমি ফলমূল বিক্রি করি। তবে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ি বেশ জনপ্রিয়। তাই এই কদিন নগরীর চাঁদমারি এলাকার কাঠের স্বমিল থেকে এই গুঁড়ি এনে বিক্রি করছি। বেচা-বিক্রি বেশ ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল ভোরে ত্রিশটা কাঠের গুঁড়ি এনে দুপুর ১২টার দিকেই ২৩টি বিক্রি করে ফেলেছেন।
খাটিয়া কিনতে আসা যুবক রেহমান বলেন, পশু কোরবানির পর টুকরো করার জন্য খাটিয়া প্রয়োজন। তাই খাটিয়া কিনতে এসেছি। কিন্তু ছোট্ট একটি খাটিয়া ২০০ থেকে ১০০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এগুলো ১০০-৬৫০ টাকায় পাওয়া যেত।
এদিকে নগরীর নতুনবাজার ও বাঘিয়াহাট সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে বিভিন্ন গাছের খাটিয়া রয়েছে। তবে মূলত তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ এই গাছের গুঁড়ি থেকে গুঁড়া (পাউডার) ওঠে না, মাংস লেগে থাকে না এবং এগুলো বেশ শক্ত ও দামে সস্তা হয়।
নগরীর রূপাতলী ও সাগরদি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে পাটের রশি, ছুরি-চাপাতি, ভূষি, খড় বিক্রি শুরু হয়েছে।। আর এসব বস্তু সংগ্রহ করতে কোরবানির ঠিক আগ মুহূর্তে ক্রেতার সংখ্যাও থাকে চোখে পরার মতো।