জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বরিশাল বিভাগীয় অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছে এক রোহিঙ্গা তরুণ। এসময় তাকে পাসপোর্ট করতে সহায়তা করার অভিযোগে আরও দুই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তাদের তিনজনকেই এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের অফিস সহকারী নাঈম বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন ও এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।
কারাগারে পাঠানো রোহিঙ্গা তরুণের নাম মো. ইসমাইল (১৮)। তিনি উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাধীন কাজিরহাট থানার শ্যামের হাট কসবা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন ইসমাইল। সেখানে নিজের নাম মো. রাফি ও বাবা ছাদের আলী বেপারী উল্লেখ করেছেন।
তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আটককৃতরা হলেন- কাজীরহাট থানার চরসোনাপুর এলাকার হাসেম ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৭) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে হোসাইন (২৬)।
বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন বলেন, আটক রোহিঙ্গা দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছে। ওই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে পাসপোর্ট করতে আসে। অফিসের লোকজন ও কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে ইসমাইল মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে মো. হোসাইন নিজের নাম সোহেল বলে জানিয়েছেন। পরে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে মো. হোসাইন পাওয়া গেছে। তাকেও রোহিঙ্গা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। সকলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।