দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ। আগামী বছরের জুনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট চীনের নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল) যৌথ বিনিয়োগে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে। জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ৫০০ একর জমির ওপরে এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এ কেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জুনে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে চায় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত এ সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। কয়েক শিফটে প্রায় ৭ হাজার বাঙালি এবং চীনা শ্রমিক কাজ করছেন। ইতোমধ্যে টারবাইনের শতভাগ এবং চুল্লির ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বয়লারের স্টিল স্টাকচারের কাজও শেষ। এছাড়া, কনস্ট্রাকশনের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। মোটকথা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৭৫ ভাগ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ওসমান (মেকানিক্যাল) জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। ২২০ মিটার উঁচু চিমনি দিয়ে কয়েক ধাপে ফিল্টারিং হয়ে বের হবে ধোঁয়া। তাই বাতাসের সাথে মিশে পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। এছাড়া, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে পরিবেশ সম্মতভাবে কয়লা খালাস এবং তা প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হবে।
এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আশরাফ উদ্দিন বলেন, করোনাকালীন সময় আমাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। তারপরও নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে আমাদের শ্রমিকরা দিন-রাত কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের জুনে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।