সন্ধ্যায় দেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস রমজান শুরু হচ্ছে শুক্রবার (১৮ মে)। আগামী ১২ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
রমজান শেষেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দেখা মিলবে। এবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যেও বৃহস্পতিবার থেকে রমজান শুরু হচ্ছে।
সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যায় বাংলাদেশের কোথাও হিজরি ১৪৩৯ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শুক্রবার থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১২ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে (এশার নামাজের পর) ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় রাত ৩টা ৪৬ মিনিট। শুক্রবার প্রথম রোজার দিন ইফতারের সময় ৬টা ৩৯ মিনিট।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফেরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, এ মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুন, ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর শেখ মো. আবদুল্লাহ, সিরাজউদদীন আহমেদ, মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা আবু রায়হান ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।