31 C
Dhaka
অক্টোবর ২২, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ

যুক্তরাজ্য-জার্মানির বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য-জার্মানি এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডের বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান ও ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আমাদের ধারণা। তখন যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডকেও বাংলাদেশ যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই প্রচেষ্টাই আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যা আছে। সেটাকে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাবো। তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে আমরা গড়ে তুলছি।

টানা তিন মেয়াদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর একটিতে পরিণত করেছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়সমূহ ও বাণিজ্য সংহতকরণের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় মাত্র এক দশকে তিনগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলারে। জিডিপির আকার ২০০৬ সালের ৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫০.৩১ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৩ গুণ কমে ১৮.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহতকরণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই টেকসই অর্থনীতি ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ৩৯টি হাই-টেক পার্ক বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কর মওকুফ, রেমিট্যান্স রয়্যালটি, প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ এবং মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগত অবস্থান, উচ্চ মুনাফা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাপকহারে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নদীর তলদেশে টানেল, গভীর সমুদ্র বন্দর এবং গণপরিবহন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। পদ্মা বহুমুখী সেতু, পদ্মা সেতুর রেল লাইন সংযোগ, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ।

২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে।

২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা জানান সরকারপ্রধান।

সম্পর্কিত পোস্ট

রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

banglarmukh official

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

banglarmukh official

ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে

banglarmukh official

৬০ ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় সালমান এফ রহমানের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

banglarmukh official

রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা বলেন সমন্বয়ক

banglarmukh official

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

banglarmukh official