দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে পিরোজপুরের আলোচিত ১৭ হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতিসহ একাধিক মামলায় এহ্সান গ্রুপের অফিস সহকারী মো. নাজমুল ইসলাম খান পুলিশের হাতে গ্রেফতার।
সোমবার রাতে পিরোজপুর সদরের খলিসাখালী এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম বেশ কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নাজমুল ইসলাম খানকে গ্রেফতার করে।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান। তিনি বলেন, একাধিক প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নাজমুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সকালে আসামি নাজমুলকেআদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পিরোজপুরে এহসান রিয়েল এস্টেট এন্ড বিল্ডার্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান রাগীব আহ্সান ও তার ৩ ভাই, স্ত্রী সালমা আহ্সানসহ পিতা আঃ রব ও চাচাতো ভাই নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর আদালতে ও পিরোজপুর সদর থানাসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শরিয়াহ ভিত্তিক সুদমুক্ত বিনিয়োগের ধারণা প্রচার করতেন রাগীব আহসান। এভাবে ধর্মকে পুঁজি করে ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে রাগীবের মালিকানাধীন এহসান গ্রুপের এমডি মাওলানা রাগীব।
এছাড়া পিরোজপুর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার লাখো গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এহসান গ্রুপ। ২০১০ সালে পিরোজপুর সদর উপজেলার খলিশাখালী এলাকায় এহ্সান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তিত হয়। বদলায় ঠিকানাও।