ঢাকা জেলার সাভারে পৃথক ঘটনায় এক কিশোরী পোশাক শ্রমিক (১৩) ও তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুমন মিয়া (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে।
আটককৃত যুবক সাভার পৌর এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ জানায়, কিশোরী তার পরিবারের সাথে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানা কাজ করতেন। একই কারখানায় কাজ করার সুবাদে সাভার পৌর এলাকার সুমন নামের এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে গত রবিবার কারখানা ছুটির পর মেয়েটিকে ফুসলিয়ে সাভারের নবীনগর এলাকায় নিয়ে যায় ওই যুবক। এরপর টানা ৪ দিন বিভিন্ন স্থানে রেখে কিশোরীর উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার নারী শ্রমিককে রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় রেখে চলে যায় বখাটে যুবক। পরে এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে শুক্রবার সকালে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।
অন্যদিকে, হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকার তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী তার পরিবারের সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকত। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা গাড়ির হেলপার ও মা পোশাক শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। এরই সুযোগে শিক্ষার্থীকে বাড়িতে একা পেয়ে বিকেলের দিকে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া শামিম (৩১) নামের এক ভ্যানচালক মেয়েটির কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সাজ্জাত হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও এক যুবককে আটক করা হয়েছে।