নেপালে ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেপালের স্থানীয় সূত্র শুরুতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল।
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা আরও অনেকের মৃত্যুতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে ৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন৷ নিহতের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। নেপালের তানাহুন জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে আচমকা বাস উল্টে যায়।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ৷ নেপাল থেকে দ্রুত মরদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে ইউক্রেন সফররত মোদি লিখেছেন, ‘নেপালের তানাহুন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখিত। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। ভারতীয় দূতাবাস ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে’।
পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার বাস রুট ভারতীয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সড়কে ভূমিধস এবং পার্বত্য অঞ্চলে সরু রাস্তার কারণে নেপালে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, গত মাসেও ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় নেপাল। রাস্তায় ধস নেমে নদীতে পড়ে যায় দুটি যাত্রীবাহী বাস। এতে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহদের মধ্যে ছিলেন ৭ ভারতীয়ও। এবারের দুর্ঘটনায় আরও বেশি সংখ্যক ভারতীয়র মৃত্যু হল।