28 C
Dhaka
অক্টোবর ৩০, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ

খোলা রয়েছে মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩ গেট, দ্রুত নামছে পানি

নোয়াখালী ও ফেনীর ভয়াবহ বন্যার পানি নামাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩টি গেট খোলা রয়েছে। সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫০ ঘন মিটারের বেশি পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। তবে বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা থেকে উজানের ঢল আন্তঃসীমান্ত কাকড়ি ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে ছোট ফেনী নদীর মুখে মুছাপুর ক্লোজার গেটের মাধ্যমে সন্দ্বীপ চ্যানেলের বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। কাকড়ী নদী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ও কাশিনগর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিশেছে।

এছাড়া ডাকাতিয়া নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি কুমিল্লা-লাকসাম চাঁদপুর হয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে; যা লক্ষ্মীপুরের হাজিমারা পর্যন্ত বিস্তৃত।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া জানান, রেগুলেটরের তিন মিটার বাই তিন মিটার আয়তনের ২৩টি গেটের সব গেট খোলা রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার হলে এটি নিজে থেকে নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।

সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, রেগুলেটর দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫০ ঘনমিটারের বেশি পানি নেমে যাচ্ছে। জোয়ার-ভাটার কারণে কয়েক ঘণ্টা পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকলেও অল্প সময়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমির ফয়সাল জানান, গেলো ১৫ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪০ মিলিমিটার পানি কমেছে। আর ৩ ঘণ্টায় পানি কমেছে ১০ মিলিমিটার। অর্থাৎ পানি দ্রুতই কমে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত কমে এলে এবং এভাবে ক্লোজার দিয়ে পানি নামতে থাকলে নোয়াখালীতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবে।

এদিকে জেলায় বন্যার পানি ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি নেমে গেলেও শনিবার রাতের বৃষ্টিতে আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা জানান, জেলার ৮ উপজেলার ২ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে ৮৬৬ আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এতে সব মানুষকে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ গোখাদ্য সরবরাহ চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

banglarmukh official

ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৮ জন

banglarmukh official

দিনে ৯০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে দেশে

banglarmukh official

কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: নাহিদ

banglarmukh official

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেফতার

banglarmukh official

৩২ এর ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা, ৩ বার বিসিএস দেওয়াদের কী হবে?

banglarmukh official