পাকিস্তানের বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার তুলনায় সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ এবং জিয়া-উল-হকের মার্শাল ল বিধি-ব্যবস্থা ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
শনিবার সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি। শুক্রবার ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকে সম্মান করেন এবং ভোটাধিকারকে মূল্য দেন, তারা একপাশে দাঁড়িয়েছেন। আর যারা কেবল ক্ষমতার অন্ধভক্ত, তারা অন্যপাশে।
তিনি শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান প্রশাসনকে বৈধ শাসক হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং নির্বাচন পরিচালনায় দুর্নীতি ও হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন।
ইমরান খান সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বারবার সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান এবং সামরিক বাহিনীর বেসরকারি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কারণে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলা বোকামি হবে না।
তার মতে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংলাপে কোনো ক্ষতি নেই।
এদিকে লাহোরে পিটিআই দলের শনিবারের সমাবেশ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান প্রশ্ন তোলেন- কেন তার দলকে মিনার-ই-পাকিস্তানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যেখানে অতীতে একই স্থানে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
লাহোর জেলা প্রশাসন পিটিআইকে মিনার-ই-পাকিস্তানে সমাবেশ করার অনুমতি না দিয়ে কঠোর শর্তের অধীনে কাহনা এলাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।
এছাড়াও, ইমরান খান বর্তমান সরকারের পরিকল্পিত সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রসঙ্গে বলেছেন, এ সংশোধনীতে প্রধান বিচারপতি সরাসরি সুবিধাভোগী হবেন।
এর আগে, ইসলামাবাদের বিশেষ অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্টের বিচারক নাসির জাভেদ রানা আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে মামলা ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
শুনানিতে দুজন অভিযুক্ত এবং তাদের আইনজীবীসহ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (ন্যাব) আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। বুশরা বিবির আইনজীবী উসমান গুল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিয়ান উমর নাদিমকে জেরা শুরু করেন। সূত্র: জিও নিউজ