চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলার আবেদনের শুনানিতে বাদীর আইনজীবীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় ম্যাজিস্ট্রেটদের। এ ঘটনার পর বিচার কাজ স্থগিত রেখেছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর হাকিম মো. অলি উল্লাহর আদালতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পিপি মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাকের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বাদীর আইনজীবী হিসেবে এদিন শুনানিতে অংশ নেন।
এরপর হাকিম অলি উল্লাহ এজলাস থেকে নেমে মুখ্য মহানগর হাকিমকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিছুক্ষণ পর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অধীন ১০ জন বিচারকের সবাই এজলাস ছেড়ে যান।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এএএম হুমায়ন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, একটি মামলার ফাইলিংয়ের বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একজন বিচারকের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটরা এজলাস ছেড়ে চলে যান।
আইনজীবী আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, ১৭ জুলাই মুরাদপুরের ঘটনায় আহত সোয়েব ইমরানের একটি মামলার আবেদন নিয়ে আমরা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে যাই। মামলাটি যাতে থানায় এফআইআর হিসেবে নেওয়া হয়, সেই আদেশ চেয়েছিলাম। এরপর নিয়ম অনুসারে বাদী আদালতকে ১২-১৪ জন আসামির নাম বলেন। কিন্তু বিচারক বাদীর কাছে সব আসামির নাম জানতে চান। তখন আমি বলি- এত নাম বলা সময়ের ব্যাপার। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে। সব নাম তো আসামি বলতে পারবে না। এরপর আবারও আদেশ চাই।
এরপর বিচারক বলেন, আমার কাজ আমাকে করতে দেন। তারপর তিনি মামলার আবেদনটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দেন। আদেশ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞতাও জানাই। এ সময় বিচারক বলেন, আমার কোর্টে জোর খাটানোর চেষ্টা করবেন না। তখন আমি বলি, জোর কোথায় খাটালাম? এরপর এজলাস থেকে নেমে তিনি মুখ্য মহানগর হাকিমে কাছে যান। তারপর সিএমএম আদালতের সব বিচারক নেমে যান।
এদিকে বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বিএনপি ও জামায়তপন্থি আইনজীবীরা চট্টগ্রাম আদালত ভবনের দ্বিতীয়তলায় মহানগর হাকিম আদালতের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ স্লোগান দিতে থাকেন।