সিরিয়ায় বর্তমানে যা ঘটছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এমনকি একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রও এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বুধবার তেহরানের ইমাম খোমেনি হোসেইনিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি সভায় দেওয়া বক্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।সিরিয়ায় ইরানের দীর্ঘদিনের মিত্র বাশার আল-আসাদের আকস্মিক পতনের পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম ভাষণ দিলেন তিনি।
খামেনি বলেন, সিরিয়ায় যা ঘটছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কমান্ড রুমের ষড়যন্ত্র। এ ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ নেই, যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
তুরস্কের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী দেশ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু প্রাথমিক পরিকল্পনাকারী হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।
খামেনি বলেন, প্রতিরোধ ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্য হলো: যত বেশি ধাক্কা দেবেন, তত তারা শক্তিশালী হবে। যত বেশি অপরাধযজ্ঞ চালাবেন, তত বেশি উদ্যমী হবে।আপনি তাদের সঙ্গে যত বেশি লড়াই করবেন, তত বেশি তারা বিস্তৃত হবে। আমি আপনাদের বলতে চাই, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের পরিধি গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে আগের চেয়ে বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে। এই পুরো অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, প্রতিরোধের অর্থ সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই, তারা মনে মনে ভাবে, যখন প্রতিরোধ ফ্রন্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন ইসলামি ইরানও দুর্বল হয়ে পড়বে। আমি আপনাদের দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছায়, ইরান অনেক শক্তিশালী এবং সামনের দিকে আরো বেশি শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।
খামেনি বলেন, তাদের প্রত্যেকেরই একটি উদ্দেশ্য আছে। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সিরিয়ার উত্তর বা সিরিয়ার দক্ষিণ থেকে ভূমি দখল করতে চাচ্ছে, আমেরিকা এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে,এগুলোই তাদের লক্ষ্য। সময়মতো দেখা যাবে তাদের এইসব লক্ষ্যের কোনোটাই অর্জিত হবে না ইনশাআল্লাহ।