অনলাইন ডেস্ক: নোয়াখালীতে সন্ত্রাসী তারেক কর্তক অপহৃত ওয়ালিদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায় উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওয়ালীদ গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি তার বাসার অদূরে মাস্টারপাড়ায় বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। ফেরার পথে সন্ত্রাসী তারেকের ভাই সাইফুলের নেতৃত্বে ১২ থেকে ১৪জনের সশস্ত্র দল ওয়ালিদকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে।
একপর্যায়ে অপহরণকারীরা ওয়ালীদকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে রড পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় কাশেম উকিলের বিল্ডিংয়ের পাশে পরিত্যক্ত একটি ভবনে হাত-পা বাধা অজ্ঞান অবস্থায় অপহরণকারীরা তাকে ফেলে যায়।
খবর পেয়ে ওয়লীদের স্বজনরা সেখান থেকে তাকে উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। ওয়ালিদের পরিবার জানায় নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তারেকের নির্দেশেই তার ভাই এবং তার অনুসারীরা এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
সম্প্রতি তারেকের মালিকানাধিন যাত্রীবাহী বাস লাল-সবুজে যাতায়াতকালে ওয়ালীদের সাথে বাসের ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টার এর বাগ-বিতন্ডা হয়। এরই সূত্রধরে তারেকের অনুসারীরা তাকে অপহরণ করে।
এ বিষয়ে তারেকের ভাই সাইফুলকে এক নাম্বার অসামী করে সূধারাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওয়ালিদের পরিবার জানায়, তারেক ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর নোয়াখালী জেলা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টুর মালিকানাধীন ৫ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস(লাল-সবুজ) তার নিন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তারেক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
তারা আরও জানান, মাইজদী ফ্ল্যাট অবাসিকে নিজস্ব ফ্ল্যাট না থাকলে কেউ ওখানে বসবাস করতে পারেনা। কিন্তু তারেক অন্যের নামে বরাদ্ধকৃত ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। একই সাথে ফ্ল্যাট অবাসিকের পুকুর ইজারা নেয়ার জন্য ডিসি অফিসের পিয়নকেও সে হুমকী-ধাকমি দেয় বলেও জানা যায়। ফ্ল্যাট মসজিদের চারটি দোকানের ভাড়া তারেক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক আদায় করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।