সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় চিরদিন থাকব না, আজ আছি কাল নাও থাকতে পারি। কিন্তু আমি মানুষের মাঝে আছি, থাকব। সুখের মুহূর্তে, দুঃখের মুহূর্তে সব সময় জনগণের মাঝে আছি। আমি কোন অন্যায় করিনি। আপনারা জনগণকে খুশি করুন। জনগণ আপনাদের খুশি করবে, ভালোবাসবে।
আজ রবিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে আমি একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছি- এমপি হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি। চট্রগ্রাম ডিভিশানে একজন, ইতিহাসে আর কেউ সাধারণ সম্পাদক হয়নি, তারপরেও আমি সংবর্ধনা নেয়নি, গেইট করতে দেয়নি। আমার এগুলো দরকার নেই। কারো ভালো না লাগলে চলে যান, তবে দলে থেকে কোন অপকর্ম সহ্য করা হবে না। কারো মনে কষ্ট দিয়ে নেতা হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
বিলবোর্ডে ছবি দিয়ে নেতা হওয়া যায় না, কাজ লাগবে, কৃতি লাগবে। যারা আমার ছবির সাথে আপনাদের ছবি দিয়ে গাছের উপরে বিলবোর্ড টাঙ্গিয়েছেন, অতিসত্তর আপনারা এসব বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলুন, নচেৎ আমি নিজে এসব বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলব। বিলবোর্ড দিয়ে জনপ্রিয়তা নির্ণয় করা যায় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ঢাকা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে নেতা হইনি। আমি তৃণমূল থেকে বড় নেতা হয়েছি, আমার নেত্রী আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করেছেন। নেত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখানে আমার জন্ম, আপনারা আমাকে ভালোবাসেন এবং ভোট দেন বলেই আমি এমপি হই, মন্ত্রী হই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ভারত সফরে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছি, এমনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে পাশাপাশি বসে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, আমার জীবনে এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কী হতে পারে। এসফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সফরে দেশের জনগণের স্বার্থের কথা তুলে ধরেছি।
তিনি আজ কবিরহাট পৌরসভায় ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম, নোয়াখালী জেলা আ. লীগের সহসভাপতি আবু তাহের, নোয়াখালী পৌর সভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, কবির হাট পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।