বদরুজ্জামান সেলিম। সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে হয়েছিলেন মেয়র প্রার্থী। দল থেকে বহিষ্কার হয়ে এর খেসারত দেন তিনি। কিন্তু দমে যাননি সেলিম। তাঁর প্রতীকের পোস্টারে-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছিল নগরের অলিগলি। নগর বিএনপির একাংশ নিয়ে চষে বেরিয়েছেন পাড়া-মহল্লা, ভোট চেয়েছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। এতে নগর বিএনপির পাশাপাশি চিন্তিত হয়ে পড়েন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শেষ পর্যন্ত দলের চাপে পিছু হটেন সেলিম। ১৯ জুলাই বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন; বলেন, ‘কুল্লু খালাস’। সেই দিন থেকেই নির্বাচনী মাঠ থেকে উধাও সেলিম। নেতাকর্মীরা মনে করেছিল, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বিএনপির প্রার্থী আরিফুলের পক্ষে গণসংযোগসহ মিটিং-মিছিলে সেলিম অংশ নেবেন। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ। সেলিমের অবস্থান তাঁর পরিবার বা দল কেউই স্পষ্ট করে বলছে না।
বিএনপির দাবি, প্রশাসনের গ্রেপ্তারের ভয়ে সেলিম আত্মগোপনে রয়েছেন, সুযোগ বুঝে মাঠে নামবেন। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তিনি একটু অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, সুস্থ হলেই তিনি আমাদের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামবেন। কিন্তু কোন হাসপাতালে আছেন—জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অসুস্থতার কথা দলীয় নেতাকর্মীরা দাবি করলেও নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে গোপনে দেশ ছাড়ার কথাও কেউ কেউ বলছেন।
মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, ‘তাঁকে তো দেখাই যাচ্ছে না। ঢাকায় অথবা অন্য কোথাও আত্মগোপনে আছেন। ভয়ে তিনি মাঠে নামছেন না বলেই মনে হচ্ছে।’ কিসের ভয়—এমন প্রশে²র জবাবে বলেন, ‘সেটা এখন বলে আমি বিপদে পড়ব নাকি?’ বদরুজ্জামান সেলিম মাঠে থাকলে দলের ভালো হতো বলেও তিনি মনে করেন। একই মত ব্যক্ত করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘বদরুজ্জামান সেলিম একজন পরীক্ষিত নেতা। জনপ্রিয় নেতা। তিনি অসুস্থতার কারণে মাঠে নেই। মাঠে থাকলে তাহলে আমাদের ভোটের মাঠ আরো শক্তিশালী হতো।’ তিনি কী আতঙ্কের কারণে মাঠে নামেননি—এমন প্রশে² কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই নেতা।